স্বদেশ ডেস্ক: যারা অতিরিক্ত ওজনে ভুগছেন, তারা এই গরমে সজাগ হোন পথ্য ও পুষ্টির ব্যাপারে। ওজন কমানোর জন্য গরমকাল সহায়ক। আপনি যদি উচ্চ ক্যালরি পরিহার করে নিম্ন ক্যালরির খাদ্য গ্রহণ করেন, তবে ওজন কমবে।
নিম্ন ক্যালরি খাবারের মধ্যে রয়েছে ফল (যেমন-তরমুজ, বাঙ্গি, জাম, জামরুল, ডাব ইত্যাদি) ও সবজি (যেমন-লাউ, পেঁপে, ঝিঙা, কুমড়া ইত্যাদি)। গরমে খাদ্যতালিকায় তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক হোন। গরমে তেলের ব্যবহার একেবারেই কমিয়ে দিন। কেননা ১ গ্রাম তেল শরীরের ভেতর ৯ কিলোক্যালরি তাপ উৎপন্ন করে। উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় শরীরের তাপ বাইরে বেরোতে পারে না। তাই কম তেলে খাবার খেয়ে আপনি স্বস্তিবোধ করবেন।
হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে। আপনার অতিরিক্ত ওজন কমবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মেলানো যাবে অর্থাৎ তেল কেনার খরচ কমবে। ইদানীং কোলেস্টেরল ফ্রি তেলের প্রচার বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে আপনার নিজস্ব বুদ্ধি যাচাই করুন। উদ্ভিদ উৎস থেকে আসা তেলে প্রাকৃতিগতভাবেই কোনো কোলেস্টেরল থাকে না। এটি তেলের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য।
বিশেষভাবে উদ্ভিজ্জ তেল কোনো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে কোলেস্টেরল ফ্রি করা হয়নি। কোলেস্টেরল ফ্রি তেলের প্রচারে সাধারণ মানুষ মনে করে তেল খেলে কোনো ক্ষতি নেই। আমরা আসলে জানি কি প্রতিদিন প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের কতটুকু তেলের প্রয়োজন পড়ে? প্রাপ্তবয়স্ক ২০ গ্রাম ভেজিটেবল ফ্যাট, গর্ভবতী মা ৩০ গ্রাম ভেজিটেবল ফ্যাট, দুগ্ধ দানকারী মায়ের জন্য ৪৫ গ্রাম ভেজিটেবল ফ্যাটের প্রয়োজন হয় (উৎস : আইসিএমআর)। কাজেই খাবার-দাবারের ব্যাপারে আপনার সতর্কতা একান্ত প্রয়োজন।